বাউফল উপজেলা প্রশাসনের নারী কর্মকর্তাদের বনভোজন

বাউফল উপজেলা প্রশাসনের নারী কর্মকর্তাদের বনভোজন

এম অহিদুজ্জামান ডিউক, বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
করোনাকালীন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের নারী কর্মকর্তাদের বনভোজনকে অবাক করেছে বাউফলের সুশিল সমাজকে। নিন্দার ঝড় উঠলেও বিষয়টিকে করোনার কারনে ইতিবাচক হিসাবে দেখেছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই বনভোজন প্রেমিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাটাজ দিয়েছেন, “করোনায় গৃহবন্দী থেকে হাঁিপয়ে উঠেছি, তাই আজ বনভোজনে এসে কিছুটা হলেও বাঁধনহারা হয়েছি।” করোনাকালীন সময় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তারা এ বনভোজনে মেতে উঠছেন! এ কারনেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হালকা সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। জানাগেছে, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের নারী কর্মকর্তারা করোনাকালীন সময়ে গৃহবন্দী হয়ে হাঁপিয়ে উঠার কারনে বনভোজনের আয়োজন করেছে। সে লক্ষে ইউএনও পতিœ মিসেস জাকির, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ মার্জিয়া, বিআরডিবি কর্মকর্তা মাহাবুবা বেগম, গ্রাম আদালত সমন্বয়নকারী শিউলি আক্তার, তথ্য কেন্দ্রের তথ্যআপা শিল্পী রানী ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম নিশু সহ বিভিন্ন নারী কর্মকর্তারা এ বনভোজনে অংশ গ্রহন করেন। উপজেলা সদর থেকে অদূরে তেুঁতলিয়া নদীর পূর্ব তীরে চন্দ্রদ্বীপ নামক স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার এ বনভোজনের আয়োজন করা হয়। বর্তমানে এটি একটি আকর্ষনীয় পিকনিক স্পট। শীতের মৌষুমে বিভিন্ন এলাকা থেকে পিকনিক প্রেমিরা লঞ্চ ও ট্রলার যোগে চন্দ্রদ্বীপে এসে ভীর করে। এ সময় স্থানটি হয়ে উঠে উৎসব মুখর। কারন এখানে নদীর কূল ঘেষে রয়েছে বিস্তীর্ন বালুচর। ছোট ছোট নরম ঘাষে বালুচর মনে হয় যেন সবুজ গালিচা বিছানো, বালুচরে উড়তে দেখা যায় চখাচোখিদের মিলনমেলা, নদীতে দেখা যায় জেলেদের মাছ ধরা আর কৃষাণ কৃষাণীদের মৌষুমী ফসল ঘরে তোলার অপরুপ দৃশ্য। এ যেন প্রকৃতির অপরুপ সাজে সজ্জিত চন্দ্রদ্বীপ যেন পিকনিক প্রেমীদের এক মায়াবী আকর্ষনে হাতছানি দিয়ে ডাকে। সেখানে বালুচরের মধ্যে তাবু খাটিয়ে চলে পিকনিকের মহাউৎসব।